মরলেও বিমানেই ভ্রমণ করব : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি যখনই বিমানকে লাভজনক করতে যাই, তখনই একটা ঝামেলা হয়। এত দিন যারা লুটপাট করে খেয়েছে, তারা চায় না বিমান সঠিকভাবে চলুক। এ কারণেই আমি যখন বিমানে উঠি, কখনো নাটবল্টু থাকে না, কখনো জ্বালানি সমস্যা হয়। কখনো পাইলটের পাসপোর্ট থাকে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাকে অনেকেই বিমানে উঠতে নিষেধ করেন। আমি তাদের বলে দিয়েছি, যত সমস্যাই হোক আমি বিমানেই ভ্রমণ করব। যদি মৃত্যু হয়, দেশের বিমানেই হোক। অন্তত এটা তো বলতে পারব, নিজ দেশের বিমানে মৃত্যু হয়েছে।

আজ রোববার বিকেলে গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী গত ২৮ মে ত্রিদেশীয় সফরের প্রথম গন্তব্য জাপানের রাজধানী টোকিও যান। পরে সেখান থেকে যান সৌদি আরবে। সবশেষ তিনি ফিনল্যান্ড সফর করেন। আজ রোববার বিকেল ৫টার দিকে গণভবনে ১২ দিনের সরকারি সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

পাইলটের পাসপোর্ট না থাকা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের ভুল-ভ্রান্তি হতে পারে। কিন্তু আমি যখনি জানতে পারি, তখন আমাদের দেশের ইমিগ্রেশনের যারা দায়িত্বে ছিল তারা কেন চেক করেনি খোঁজ নিতে বলি। আমি বলেছি যত ভিভিআইপি হোক, নামের পাশে যত ভি যুক্ত হোক, প্রত্যেককে ভালোভাবে ঠিকমতো ভিসা-পাসপোর্ট আছে কি না, তা চেক করতে। আমরা এখন দেশের বিমানকে উন্নত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং নতুন রুটে বিমান পরিচালনার চিন্তা করছি। নতুন নতুন বিমান কিনে দিয়েছি।

আমাদের দেশের মানুষ বিমানে উঠার জন্য পাগল। অথচ বিমানে অনেক সময় সিট খালি থাকে। অথচ মানুষ সিট পায় না। কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে এসব কারসাজি করা হয়। আমি খোঁজ নিয়ে এসব দমন করছি। পরে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। তাদের রাগ ক্ষোভ থাকতে পারে। যখনি বিদেশে যাই তখনি একটা ঘটনা ঘটে যায়।

বিমানের চোরাচালান বন্ধ করেছি। সোনার বার উদ্ধার করা হয় কয়দিন পরপর, যদিও এতে আমাদের রিজার্ভ বাড়ছে। তারপরও আমি এসব বন্ধ করেছি। তারা তো এখন চুপ করে বসে থাকেনি। তার পরও আমি কিন্তু পিছপা হব না। বলছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘদিন যারা বিমানটাকে নিয়ে খেলত, এখন তাদের আঁতে ঘা লেগেছে। তারা এ অঘটনগুলো ঘটাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সৌদি সরকার এ বিমানবন্দর সংস্কারে অর্থায়ন করবে। এখানে আন্তর্জাতিক রুটের বিমানগুলো প্রয়োজনীয় জ্বালানি সংগ্রহ করতে পারবে। একই সঙ্গে ইচ্ছে করলে তারা কক্সবাজার পর্যটন এলাকাও ঘুরে দেখতে পারবে।

সূত্র: এনটিভি অনলাইন